নতুন কারিকুলামে নতুন ভাবনা”
”নতুন কারিকুলামে নতুন ভাবনা”
নাজমুল আলম
সিনিয়র শিক্ষক
ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন কারিকুলাম চালু হয়েছে । ২০২৪ সালে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে, পরবর্তীতে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পাঠদান চলেছে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনার আলোকে। নতুন কারিকুলামে পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করে শিক্ষকরা নতুন কারিকুলামে সফলভাবে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়েছেন। । শিক্ষার্থীদের শিখন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে অভিভাবকরা মনে করে পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে অভিভাবকদের ধারণা না থাকায় এ কথাগুলো তারা বলছেন। দীর্ঘদিন ধরে কোনো একটি পদ্ধতি চলে এলে সেটার প্রতি সবাই মিশে যায়, ফলে নতুন কোনো পদ্ধতি বা বিষয় এলে সেটাকে গ্রহণ করতে কিছুটা বিলম্ব হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক হয়ে যায়। নতুন কারিকুলামে প্রান্তিক মূল্যায়ন না থাকলেও রয়েছে ধারাবাহিক মূল্যায়ন, যেটা প্রান্তিক মূল্যায়নের চেয়ে অধিক ফলপ্রসূ। প্রান্তিক মূল্যায়ন বা সামষ্টিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীকে ফলাবর্তন দেয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন যেহেতু প্রতিটি পাঠে করা হয় তাই শিক্ষার্থীদের ফলাবর্তন দেয়ার সুযোগ থাকে, যেহেতু ফলাবর্তন দেয়া যায় সেহেতু শিক্ষার্থীদের শিখন ফল অর্জন নিশ্চিত করা যায়। প্রতিদিনই শিখন অগ্রগতি যাচাই করা যায়। ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রতিটি পাঠ শেষে মূল্যায়ন নির্দেশক অনুযায়ী শিখন ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। পাঠদানের লক্ষ্যই হচ্ছে প্রতিটি পাঠের শিখনফল নিশ্চিত করা। শিখনফল নিশ্চিত করতে পারলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে। । সময়ের ধারাই এটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ-পরিস্থিতির নিরিখে সবকিছু পরিবর্তন হয়। বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। পড়ালেখায়ও প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। এটা অনেক বড় একটা সুযোগ আগামী প্রজন্মের জন্য, যেটা আমি-আপনি পাইনি। তাই সকলের উচিৎ এই নতুন কারিকুলাম কে স্বাগত জানানোর। এই কারিকুলামের মধ্য দিয়েই আগামী প্রজন্ম দক্ষ হয়ে গড়ে উঠবে।