ছিনতাইকারীর কবলে কলেজের প্রভাষক

কাউছার খান
ময়মনসিংহের ভালুকায় ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোঃ বিল্লাল হোসেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে কলেজ যাওয়ার পথে এমন ঘটনা ঘটে।
এ সময় ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ছিনতাইয়ের শিকার প্রভাষক মোঃ বিল্লাহ হোসেন জানান, সোমবার সকালে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি বাসা থেকে রওনা করি। ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় আমার সামনে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। সময়ের স্বল্পতার কারণে আমি তাড়াহুড়ো করে ওই মাইক্রোবাস উঠি। উঠার পরেই মাইক্রোবাসে চার-পাঁচজনের সদস্য মিলে আমাকে জিম্মি করে ফেলে। আমার হাত, পা, চোখ, মুখ সহ সমস্ত শরীর বেঁধে ফেলে চক্রটি । তারপরেই শুরু করে আমাকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতন। হাত, পা ও বুকে প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে আমাকে। আঘাতের পর যখন আমার অবস্থা প্রায় আশঙ্কাজনক তখন ছিনতাইকারীরা প্রায় ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমার পরিবারের কাছে। মুক্তিপণের আশায় ছিনতাইকারীর চক্রটি মাইক্রোবাস নিয়ে ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ও সীডষ্টোর সহ ভালুকার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ঘুরতে থাকে ও মুক্তিপণের টাকা আদায়ে মারধর করতে থাকে। টাকা না দেওয়া হলে ছিনতাইকারীর আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। চক্রটির দাবি মেটানোর পর মাওনা ব্রিজের পাশে আমাকে ফেলে যায়। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি দেখে ভালুকা হাসপাতাল থেকে আমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেলে আমি প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ ভর্তি ছিলাম।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘ ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’