নিজস্ব প্রতিবেদনঃ আমরা সকলেই জানি যে, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ আমাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে । মৃত্যুকে দিনের পর দিন খুব কাছ থেকে অবলোকন করেছি আমরা। প্রতিদিন দেখেছি জীবাণুর সঙ্গে মানুষের কত অসহায় লড়াই। স্ব চক্ষে দেখেছি কীভাবে বর্তমান পরিস্থিতি মানুষের কর্ম জীবনের অনিশ্চয়তা তৈরি করে দিয়ে গেল । নানারকম ক্ষতির মাঝে কোভিড-১৯ বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়ে গেছে সকল ছাত্রছাত্রীদের জীবনযাপনে।বাড়ি হোক অথবা বন্ধুর সঙ্গে ক্লাসের ফাঁকে আড্ডা,মাঠে খেলাধুলো সব জায়গায় কেমনযেন থমকে গিয়েছিল জীবন। রিমোট লার্নিং অর্থাৎ বাড়িতে বসে ল্যাপটপে পড়াশুনো করার মাধ্যমে শিক্ষালাভ কিছুটা হলেও,তাদের মনের কতটা বিকাশ ঘটছে অথবা মানসিক উত্তরণ ঘটছে সে-বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এখন নতুন স্কুল খোলার আনন্দ চোখেমুখে ফুটে উঠছে ছোটদের। একটি শান্ত,নির্জন ঘরের মধ্যে একলা বসে পড়াশুনো করা যে সম্ভব নয়, তা অতিমারি আমাদের সকলকে প্রবলভাবে ধাক্কা দিয়ে বুঝিয়ে গেছে। বহুধরনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে ছোট্ট মনের গভীরে।কিন্তু তাদের স্বাভাবিক মানসিক গঠন প্রচণ্ড নাড়া খেয়ে গেছে। লেখাপড়া ছিলনা বলে শিক্ষার্থীরা আশ্রয় খুঁজেছে মোবাইলে। কিন্তুইদানিং স্কুল কলেজ শুরু হওয়ার পর তারা তাদের নির্দিষ্ট লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজগুলো সুন্দরভাবে চালিয়ে যাচ্ছে । সকল শিক্ষার্থীর আগামীদিনে সুন্দর শিক্ষা পরিবেশ ও সুন্দর পৃথিবী তৈরী হওক । জীবনে বয়ে আনুক সুন্দর গতিধারা।
নাজমুল আলম
সিনিয়র শিক্ষক,ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়