অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বান্দিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আইয়ুব খান ১৯৮৫ সালে একই উপজেলার নারাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে বান্দিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইয়ুব খান ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় একই সাথে তিনি আবার ১৯৮৫ সালে একই উপজেলার নারাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে থেকে উভয় প্রতিষ্ঠানের সরকারি বেতন ভাতাদি গ্রহন করছেন। যাহা তথ্য গোপন করে সরকারী অর্থ আত্মসাতের শামিল।
এ বিষয়ে নারাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইয়ুব সাব ১৯৯৯ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন কি না? তা বলতে তিনি রাজি নন।
অভিযোগ যাচাই করতে গিয়ে আরো জানা যায় যে, আইয়ুব খান মে ২০২২ পর্যন্ত বেসরকারি অংশের অর্থ, টিউশন ফি, স্কুলে সম্পত্তি হতে আয়কৃত অর্থের কোন অংশ সহকারী শিক্ষকগণকে প্রদান করেননি এবং সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থেরও কোন কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তলন করে আত্মসাৎ করেছেন। অবাক হলেও সত্য প্রতিষ্ঠানে যে যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ওই অ্যকিাউন্টে তিনি কখনো কোন টাকা জমা না করেই ওই অ্যাকাউন্টের সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যদিও এককভাবে অনধিক ৫০০০ টাকা’র ১ টাকাও বেশি খরচ করার কোন বিধান প্রধান শিক্ষকের নেই। অর্থাৎ কমিটির রেজুলেশন ছাড়া ১ টি টাকাও উত্তলন বা খরচ করার কোন সুযোগ বা বিধান নেই। তিনি সকল বিধি বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পেশী শক্তি, বড় কর্মকর্তা আত্মীয়ের ভয় দেখিয়ে বান্দিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে অবৈধ অর্থ আত্মসাতের কারখানাতে রূপান্তরিত করেছেন।এ বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই তাঁর পরম আত্মীয়।
এছাড়াও নামে বেনামে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ, অনৈতিকভাবে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বানিজ্য এমনকি একাধিক নারী কেলেঙ্কারির মত জগন্য অভিযোগও রয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে তা বক্তব্য জানতে তাঁর নিজ মুঠো ফোনের নাম্বারে ০১৭১২৭২১৩২২ একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।