সারুয়ার হাসান:
ভূমি বিষয়ক অধিকাংশ কাজ মানেই দালালের দৌরাত্ম্য। দিনের পর দিন হয়রানি। কর্মচারীদের অবজ্ঞার পাশাপাশি বাড়তি খরচ, টেবিল থেকে টেবিলে ঘোরাঘুরি। তবে, কর্মপ্রিয় ও মেধাবী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের ছোঁয়ায় অনেকটাই বদলে গেছে এই চিত্র। তিনি ভালুকা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। ভালুকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি প্রশিক্ষণে থাকার কারণে ভালুকা ভূমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন ত্রিশাল ভূমি অফিসের জনপ্রিয় এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সম্প্রতি ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের টেবিলে থরে থরে নথী সাজানো রয়েছে। ওই রুমেই ৩থেকে ৪জন সহকারী তাকে সহযোগীতা করছেন বিভিন্ন রেকর্ডের তথ্য দিয়ে। মগ্ন হয়ে কাজ করছেন তিনি। নির্দিষ্ট একটি সময় শুনছেন সেবা নিতে আসা মানুষের সমস্যার কথা।
ভূমি অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, ‘সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ কাজের প্রতি খুব যত্নশীল প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ এই অফিসার দ্রæত সময়ের মাঝে কাজের সমাধান দেন। এতে সেবা নিতে আসা মানুষের ভুগান্তি কমেছে অনেকাংশে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, ‘নামজারি ও বিবিধ মামলার শুনানির তারিখ বাদী ও বিবাদীকে মুঠোফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। নামজারীর আবেদন করার সাথে সাথে সেবা প্রার্থীর সম্ভব্য শুনানীর তারিখ ও নিষ্পত্তির তারিখ ক্যালেন্ডার মাফিক হেল্প ডেস্ক থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে যথা সময়ে সকলে এসে তাদের কাজের সময় অনুযায়ী আসতে পারে। তাছাড়া, অফিসের কর্মচারীরা সেবা প্রদানের বিষয়ে খুবই অন্তরিক তাই কাজ করতে আমার সুবিধা হচ্ছে।’